চট্টগ্রামে শীতের সবজিতে স্বস্তি, পেঁয়াজের দাম এখনো বাড়তি
এম. এন. নবী

চট্টগ্রাম শহরের কাঁচাবাজারে শীতের সবজির পর্যাপ্ততার কারণে কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও পেঁয়াজের দাম এখনও উর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, মসুর ডাল ও খোলা চিনির দাম কমেছে।
শুক্রবার নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর, কাজির দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে শীতের সবজি বাজারে তুলনামূলক স্বস্তি দেখা গেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মূলা ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা এবং গোল বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি গাজর ৮০ টাকা, আর চায়না গাজর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। করলা, ঢেঁড়স, পটল, কাঁকরোলের দাম ৬০ টাকা এবং চিচিঙ্গা, বরবটি, কচুর লতি ও কচুরমুখীর বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
তবে পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বড় আকারের পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে।
ব্রয়লার মুরগির দাম কমে দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। লাল ডিমের ডজন ১৩০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে গরু ও খাসির মাংসে তেমন পরিবর্তন নেই। আগের মতোই গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। শাকের বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল। শীতের লাল শাক, পালং ও অন্যান্য শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৬০ টাকা, লেবু হালি ২০ টাকা ও কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা।
মাছের বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ – ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
মুদিপণ্যে স্বস্তির খবর এসেছে মসুর ডালের দাম কমায়। ছোট মসুর এখন ১৫০ টাকা, মোটা মসুর ৯০ টাকা। খোলা চিনি কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা কেজিতে। মুগ ডাল, খেসারি, ছোলা আগের দামে রয়েছে। সয়াবিন তেল বোতলজাত ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৭২ টাকা। ঘির দাম ১,২৫০ থেকে ১,৫৫০ টাকার মধ্যে। চালের বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন নেই।












